হাওজা নিউজ এজেন্সি: শুক্রবার বিকেলে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ায় হিজবুল্লাহ আয়োজিত শহীদ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার হাইসাম আল-তাবাতাবায়ীকে স্মরণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দেন কাসেম।
তিনি বলেন, “শহীদ আল-তাবাতাবায়ী (সাইয়্যেদ আবু আলী) পরিকল্পনা, সাহস ও প্রজ্ঞার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন।”
আরও যোগ করেন, “তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন। তাঁর ব্যক্তিত্বে বিশ্বাস, শৃঙ্খলা, ধর্মনিষ্ঠা ও কৌশলগত দূরদৃষ্টি অনন্যভাবে মিলিত হয়েছিল।”
হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, “‘ফরমিডেবল ইন মাইট’ অভিযানের নেতৃত্ব তিনি অসাধারণ পেশাদারিত্ব ও সামরিক কৌশলের উচ্চ দক্ষতায় পরিচালনা করেছিলেন।”
তিনি আরও জানান, “আবু আলী ছিলেন প্রকৃতই যুদ্ধক্ষেত্রের সন্তান—লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ নানা ফ্রন্টেই তিনি সক্রিয় ছিলেন।” — আল-মানার টিভি ইংরেজি ওয়েবসাইটের বরাতে।
শেখ কাসেম বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের যে লক্ষ্য ছিল, তা অর্জিত হয়নি এবং কখনোই হবে না। আমরা প্রতিরোধের পথ ধরে অটলভাবে এগিয়ে যাব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে, ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে এবং সেগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”
দাহিয়ায় নিহত পাঁচ শহীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা তাদের পরবর্তী মিশনের প্রস্তুতির জন্য একত্র হয়েছিল। আমরা তাদের নিয়ে গর্বিত।”
কাসেম জোর দিয়ে বলেন, “এটি সুস্পষ্ট আগ্রাসন ও নৃশংস অপরাধ। এর প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে, আর সে প্রতিক্রিয়ার সময় আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব।”
তিনি মন্তব্য করেন, “যে কেউ হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে চায়, সে মূলত ইসরায়েলের স্বার্থেই কাজ করে।”
২০২৪ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি প্রতিরোধ, জনগণ এবং লেবাননের জন্য এক বিজয়—কারণ আমরা শত্রুকে তাদের ‘প্রতিরোধকে নির্মূল করার’ লক্ষ্য পূরণ করতে দিইনি।”
আরও যোগ করেন, “ইসরায়েলি হামলা কেবল প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, বরং গোটা লেবাননের বিরুদ্ধেই আগ্রাসন।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শত্রুকে প্রতিরোধ করা মানে মুক্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা, মোকাবিলা করা এবং আমাদের ভূমিতে তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া।”
ইসরায়েলের হুমকি প্রসঙ্গে কাসেম বলেন, “তারা চাইলে আমাদের বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বকে উসকে দিতে পারে; শেষ পর্যন্ত তারা শুধু হতাশাই পাবে।”
আপনার কমেন্ট